"Netaji Subhash Chandra Bose and Germany" এই বই টাতে অনেক লেখকই লিখেছেন,অনিতা পাফও লিখেছেন,এবং বলা বাহুল্য যে উনি অনেক আজগুবি তথ্য সুভাষ চন্দ্র সম্পর্কে লিখেছেন, যেগুলো পড়লেই বোঝা যায় ,যে এসব মিথ্যে,রাগ এর থেকে বেশী হাসিই পায় । যাই হোক,আজকে এখানে অনিতা পাফ কে নিয়ে বলার জন্য আমি আগ্রহী নই,যেটা বলার জন্য এই পোস্ট করা , তা হলো যে ,এই বইটাতে কৃষ্ণা বসু ও লিখেছেন,এবং উনি লিখেছেন যে সুভাষ চন্দ্র ১৬-১৭ জানুয়ারি কলকাতার এলগিন রোড এর বাড়ি থেকে গ্রেট এসকেপ করেন ,এবং শিশির কুমার বোস তাকে হেল্প করেন।
তো এখানে আমার প্রশ্ন হলো যে কৃষ্ণা বসু জানেন না যে সুভাষ চন্দ্র ঠিক কবে গৃহ ত্যাগ করেছেন? ১৬ ? নাকি ১৭? কৃষ্ণা বসু ১৬ ও ১৭ দুটো দিনের কথাই লিখছেন।উনি একসাথে ,দুই দিনই গৃহত্যাগ করতে নিশ্চয়ই পারেন না!
হয়তো ১৬ তারিখে বেরোবেন,না হয় ১৭ তারিখে বেরোবেন। দুটো তারিখ এর মাঝখানে হাইফেন দেওয়ার উদ্দেশ্য কি?উনি কি সঠিক তারিখ টা জানতেন না?এই লেখা পড়ার পর কেউ ওনাকে জিজ্ঞেসও করেনি ,যে শ্রীমতী কৃষ্ণা বোস,উনি আসলে কবে বেরিয়েছিলেন?১৬ ? না ১৭ ? ঠিক করে বলুন।অদ্ভুত না?খোদ ওনার স্বামী গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলো ,আর উনিই কিনা তারিখ সঠিক ভাবে জানেন না?আসলে ,এই বইতে লেখার আগে,ওনার স্বামীর সাথে বসে বোঝাপড়া করে একটা তারিখ ঠিক করে তবে এই বই তে লেখা উচিত ছিল।আসলে শিশিরও date টা জানত কিনা সন্দেহ
আপনারা নিজেরাই পড়ুন ।আমি বই এর পাতা গুলিতে 1,2,3,4,5,6,7 দিয়ে নাম্বারিং করে দিয়েছি ,আপনাদের সুবিধের জন্য। এমিলে সম্মন্ধে আজ বিশেষ কিছু বলবো না ,তবে এটুকু বলবো ,যে এমিলি জানতেন ,যে স্বাধীন ভারতের প্রাইম মিনিস্টার, জওহারলাল নেহেড়ু, সুভাষের এর আত্মত্যাগ,কষ্ট,সংগ্রাম এর কথা, সমস্ত মানুষকে ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন।সবাই যাতে সুভাষচন্দ্রকে ভুলে যায় ,তারই প্রচেষ্টা চলছে (সূত্র:এমিলি কে লেখা শিশিরের চিঠি)। অথচ উনি তার কোনো প্রতিবাদ করেননি। Vienna files এ দেখতে পাওয়া যায়,যে নেহরু যতো বার ভিয়েনা গেছেন, এমিলি-অনিতার সাথে যোগাযোগ করেছেন ,একসাথে সকালের জলখাবার সেরেছেন। এমিলি কিন্তু একবারও নেহরু কে বলেনি যে আপনি আমার (so called) স্বামীকে ইন্ডিয়া তে বন্ধ কেন করে দিচ্ছেন? উনি যদি সত্যিই সুভাষের স্ত্রী হতেন ,তাহলে উনি এর প্রতিবাদ করতেন। উনি করেননি ,কারণ প্রতিবাদ করলেই নেহরু যে প্রতিমাসে টাকা পাঠাচ্ছে,সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। উনি নেহরুর টাকায় মদ খেয়েছেন, সিগারেট ফুকেছেন, আর চুপ থেকেছেন নিজের স্বার্থের জন্য।শেষ জীবনে এসে যে ওনার যে বোধোদয় হয়েছিল ,সেটা পরের ব্যাপার (কারণ তখন তিন কাল গিয়ে এক কালে থেকেছে -ভগবানের কাছে যেতে হবে -ভগবানের কাছে কি জবাব দেবেন?)। মোদ্দা কথা হলো যে,উনি সারা জীবন সুভাষের স্ত্রী হিসেবে ভারত সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়েছেন, অথচ সুভাষের ওপর উনি অন্যায় হতে দেখেছেন,কিন্তু তার জন্য কিচ্ছু করেননি।
___________________________________
® All rights strictly reserved by Simanta Nandi.