রিক্সা

 এখন বাংলাতে যেটা "RICKSHAW", সেটা আসলে "Rish-Kaw" এর বাঙালি সংস্করণ । এতে হাসার কিছুই নেই । এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমরা সেই রিকশার পিছনে ছুটতাম, যেটার অস্তিত্ব এখন বলতে গেলে হারিয়েই গেছে । এখন টোটোর রাজ, টোটোর গৌরব, টোটোর ইত্যাদি ইত্যাদি...। টোটো বললে কুড়ি টাকাতেও যেতে রাজী, রিকশা বললে, 'কুড়ি টাকা ? বাজারের মাথা তো তোমরাই খাচ্ছ গুরু । '
দেশের এই হাল
টোটোই তার কাল
অবিশ্যি, এটা সঠিক তবে আপাতভাবে । বিজ্ঞানের উন্নতি, কারিগরির উন্নতি, দেশের উন্নতি । তাই আমরাও কখনও বাহবা দিচ্ছি, কখনও বা খুব গর্বে শ্বাস ফুলিয়ে দু চোখের পাতা বোজাতে পারছি । কিন্তু ওরাও তো মানুষ হে ! ওদেরও তো ইচ্ছে করে আর পাঁচজনের মতো বোতল বোতল  মদ খাই ! কলকাতায় অবশ্য এখনও গুটিকয়েক রিকশা বেঁচে আছে, তাও আবার হাতে টানা । আর সেটা কিসে কাজে লাগে জানেন ? মাল বইবার জন্যে । বাবুরা তো সেজন্য অপর্যাপ্ত ভাড়াটাও দেন । আজকাল ওতে চাপতে আমাদের 'সেন্টিমেন্টে' লাগে কী না ! টোটোরও একদিন নিশ্চই রিকশার মত সদগতি প্রাপ্ত হবে ? হয়ত নতুন কোন যানবাহন আসবে । অবশ্যই দেমাকি যানবাহন । তখন কি মনে পড়বে, সমাজের শৈশবকালও মরে যাচ্ছে রিকশার অবহেলায় ॥

  Never miss a story from us, get weekly updates in your inbox.